মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে দুর্নীতির অভিযোগে আরও সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক আদালত। আজ (শুক্রবার) এই রায় ঘোষণা করা হয়। এতে ১৮ মাসের মধ্যে সু চির বিরুদ্ধে সব অভিযোগের রায় শেষ করলো জান্তা সরকার। খবর রয়টার্স’র।

নোবেলজয়ী সু চিকে (৭৭) এর আগে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি এবং দাপ্তরিক গোপন আইন লঙ্ঘনসহ ১৪টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এসব অভিযোগে তাকে ২৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।গত বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারি সু চিকে বন্দী করার মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই মিয়ানমারের নির্বাচিত এই নেত্রী সামরিক বাহিনীর হেফাজতে আছেন।

বর্তমানে সু চিকে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোর একটি কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। এর আগে তাকে একটি অজ্ঞাত স্থানে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। জান্তা সরকার সু চিকে আইনি লড়াইয়ের জন্য কোনো আইনজীবী নিয়োগ করতেও দেয়নি। এর আগে সু চিকে বিভিন্ন অভিযোগে ২৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সু চির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ ভঙ্গ করা, উত্তেজনা উসকে দিতে যোগাযোগের জন্য অবৈধভাবে রেডিও সরঞ্জাম মজুত করা, রাষ্ট্রীয় গোপন আইন ভঙ্গ করা এবং নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করা। তবে সু চি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো ‘অযৌক্তিক’ বলে উল্লেখ করেছেন।